২১ অক্টোবর ২০২৫ - ১৪:২৫
ফিলিস্তিনিদের মরদেহে ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন!

ইসরায়েল ফেরত দেওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহের মধ্যে ১২০টি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, মৃতদেহগুলোতে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন এবং অঙ্গ চুরির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজার সরকারি গণমাধ্যম জানায়, প্রাথমিক পরীক্ষায় মরদেহগুলোর অধিকাংশে পদ্ধতিগত নির্যাতন, মাঠে গুলি করে হত্যা এবং গাড়িচাপা দিয়ে পিষে ফেলার চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ১২০টি মরদেহ তিন ধাপে ফেরত দেওয়া হয়—মঙ্গলবার ৪৫টি, বুধবার ৪৫টি এবং বৃহস্পতিবার ৩০টি।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ বলেন, মৃতদেহগুলো পশুর মতো বাঁধা ছিল। চোখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় দেহে ভয়াবহ নির্যাতন ও দগ্ধতার চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান, তারা স্বাভাবিকভাবে মারা যায়নি; হাত-পা বাঁধার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং মৃতদেহ মাসের পর মাস রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল।

ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, মরদেহগুলোর অনেকের গলায় দড়ির দাগ, হাত-পায়ে প্লাস্টিকের বাঁধন, কাছ থেকে গুলির ক্ষত এবং ট্যাংকচাপায় পিষে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। সংস্থার মতে, ইসরায়েলি সামরিক ও গণমাধ্যমের ভাষণে ফিলিস্তিনিদের অমানবিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

গাজার সরকারি গণমাধ্যমের প্রধান ইসমায়েল আল-থাওবত জানান, অনেক দেহের বড় অংশ অনুপস্থিত। কিছু দেহ মাথাবিহীন, হাত-পাবিহীন, চোখবিহীন এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গহীন, যা ইঙ্গিত দেয় অঙ্গ চুরিতে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ।

মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে গত শুক্রবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায়। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামাস ২৮ জন মৃত ইসরায়েলি বন্দির মধ্যে সাতজনের দেহ ফেরত দিয়েছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যে ১২০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে, এবং মোট প্রায় ৪০০ জনের দেহ ফেরত দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha